করোনাভাইরাস মহামারী সময়েও
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ আবাসিক হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ।
বৃহস্পিতিবার ভোররাতের আলাওল হলে এই মারামারিতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
গুরুতর আহত দুই ছাত্রলীগকর্মীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব।
তিনি সংবাদ মাধ্যমে জানান, “রাতে চারজন শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়েছিল।
“তাদের মধ্যে মোজাহিদ চৌধুরী ও জাহিদ নামের দুজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। এ কারণে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। বাকি দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
চমেকে পাঠানো দুজনের মধ্যে একজনের মাথায়, অন্যজনের হাতে ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল বলে এই চিকিৎসক জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয়ের দুই উপদলের কর্মীদের মধ্যে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই মারামারি বাঁধে।
আহতদের মধ্যে মো. জাহিদ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের, মুজাহিদ সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের, সাব্বির আহমেদ রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এবং সাহিল কবির আরবি বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী জামায়াতের নেতা জাকির হোসেনের ছেলে মুজাহিদ। অনেকদিন ধরে ছাত্রলীগে ঘাঁপটি মেরে শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছিল সে। “গত কয়েকমাস তার অবৈধ কার্যকলাপ আমরা প্রত্যক্ষ করছি। সর্বশেষ সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ছাত্রলীগের ছেলেদের গতিরোধ করে। গতকাল রাতে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে প্রতিহত করে।”
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে এমন জঘন্য হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূইয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আলাওল হলে ছাত্রদের মধ্যে ঝামলা হচ্ছে শুনে প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঝামেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
0 মন্তব্যসমূহ